তুমি যে চলে যাবে একদিন সেতো জাই। তাই বলে এভাবে তো যাওয়ার কথা ছিলো না্#২৪০৪; সবাইকে বললে, তাড়াতাড়ি চলে যাবো। শুধুমাত্র আমাকে বললে না কোন কিছুই কি জানি, কি ভেবে ছিলে। আমি কি বাধ সাধতাম তোমার নতুন গব্যের শুভযায়। কখনোই বাধা দিতাম না। বিদায় বেলায় কেউ কি কখনো কারো পথ আগলে দাঁড়ায় ? আমাকে জানালে হয়তো আরো সুন্দর করে তোমার পালকিটাকে সাজিয়ে দিতাম বেয়ারাদের ও পড়াতাম নতুন পোশাক কিন্তু তাও তুমি করতে দিলে না। বাড়ির কাউকে না বলেই নিরবে একাকী চলে গেলে আমি অবশ্য তোমার যাত্রার একটু আগে কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলাম তাই বলে ওভাবেই চলে যাবে সেটা মনে আসেনি আদৌ এটা বুঝি তোমার যাওয়ার সময় হলো ? আঊশ ধানগুলি সবেমাত্র কেটে এনেছ জমি থেকে ফুটি ফুটি বৃষ্টি ঝরছে আসমান থেকে অলস মনে উঠানের শুকনো বুকে কাঁচা পাঁকা আঊশের সব গাছ ছড়ানো হয়েছে দাওয়ায়। ওটা কোন সময় হলো অচিন দেশের শুভযাত্রার। তোমার সাথে দেখা নাই তিন দিন্#২৪০৪; কথাও হয় নাই কোন, যত কথা ছিলো বাকী ক্যামেরা আর ছবির সাথে করি মনের কথা বিনিময়। অভিমানে জেদে অব্যক্ত ােভে না খেয়ে ফিরিয়ে দেই টিফিন ক্যারিয়ারে পাঠানো রাতের খাবার। রাত্রি প্রহরীর একগাদা নীতিগর্ভ শুনি একাকী নিঃশব্দে। সারারাত নির্ঘুম চোখে গড়াগড়ি দেই ছোট্ট বিছানায় অসহ্য অস্থিরতায়। সকালে ইব্রাহিমের মুখে তোমার অসুস্থতার খবর শুনে ছুটে আসি বাড়িতে যতসব মান অভিমান ভোলে। তোমাকে নিয়ে যেতে হবে ক্লিনিকে সারা শরীর পরীা করাতে। বাড়িতে এসে দেখি তুমি শোয়ে আছ কাঁঠালের চৌকিতে চারপাশে লোকজন বসা্#২৪০৪; কোন ব্যথা বেদনা নেই নেই কোন অস্থিরতাও। দিবি্ব স্বাভাবিক আলোচনায় মেতে আছ যেমন প্রতিদিনের মতো। আমার অশা মেজাজ, কর্কশ শব্দে বলে উঠি আনমনে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে তবু যাবে না ডাক্তারের কাছে। সামনে মেজো ভাই নিরবে বসা তাঁরও কোন ব্যতা নেই যেন। তুমি ইশারায় কাছে ডাকলে আমি বাধ্য ছেলের মতো বসলাম তোমার শিউরে বাম হাতটা দিলে আমার মুঠোয় মা তখন মেঝেতে বসে কয়েকটা আপেল কাটছে তোমার জন্য। আজ আমি আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম... তিন দিন হলো তোমার সাথে দেখা নাই অথচ তোমার শিউরে বসলেও আমার সাথে দৃষ্টি বিনিময় করলে না। বুকের গভীরে কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠল। কিন্তু কাউকে বললাম না কিছুই এমনকি তোমাকেও না। ধীরে ধীরে বললে, ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। আমার তো কিছুই হয় নাই, এই একটু বুক ব্যথা আর কি। আমি বললাম পূর্ববৎ রেগে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগ ভাল হবে কি করে। তুমি চুপ করে শোয়ে রইলে। আ েআ েসবাই চলে গেল প্রতিবেশী স্বজন এতন যারা কাছে ছিল। আমিও উঠে গেলাম পড়ার । একটু গড়াগড়ি দিচ্ছি বিছানায় হাতে ডিকশনারীটা নিয়ে। নতুন শব্দের সন্ধানে উৎসুক মন, অনুসন্ধিৎসু দু'টি চোখ, খুঁজছে অচেনা শব্দের নানান ফুল নিজের ঢালিটা ভরতে। কিন্তুু আমার জানা ছিল না আজ এমন এক শব্দের সাথে পরিচিত হতে হবে আমাকে। হঠাৎ চমকে উঠি ছোটবোনের গলা ধরানো আর্তচিৎকারে। দৌড়ে ছোটে আসি তোমার কাছে কিু ততোণে অচিন দেশের শুভ যাত্রায় তুমি রওয়ানা দিয়েছ। হাত চেপে ধরি, বুকে কান পেতে শুনি, তোমার শুভযাত্রার পালকি বাহকের বেদনার্ত কন গানের সুর। মুহুর্তে আমি বিভ্রা হয়ে যাই, তোমার অভিমানী মনে একাকী চলে যাওয়া দেখে। কেমন অভিমানী চুপি চুপি চলে গেলে কাউকে কিছু না বলেই সফেদ কাপড়ে মুখ লুকিয়ে... মনে হলো তুমি চলে যাচ্ছ কোথাও্#২৪০৪; কিন্তুু তোমার তো এভাবে যাওয়ার কথা ছিল না। অথচ তুমি আমাকে কিছু না বলেই কেমন একাকী পালিয়ে চলে গেলে ভাবলে না একটুও এই ভাগার কথা যার সামনে অল দরিয়া ওপারে যাওয়ার মতো নেই কোন তরী। তারপরও তুমি চলেই গেলে আমাকে একাকী ফেলে এটাই বুঝি তোমার আমার বন্ধন। (আব্বা,আজো তোমাকে এতোটুকু ভোলি নাই) জেদ্দা, সৌদি আরব।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া
আমিতো প্রথম থেকে ভাবছিলাম প্রেমিকা বা বউ চলে গেছে ......... হয় রে কপাল !! বেশ দীর্ঘই কবিতা , বানানগুলো ঠিক করে নিলে পড়তে ভালো লাগবে ..... আগামীর জন্য শুভকামনা ...
আহমেদ সাবের
আপনার "যন্ত্রণাদগ্ধ স্মৃতিচারণ" আমাদের মনেও ছড়িয়ে দিল একরাশ যন্ত্রণা। কবিতা দীর্ঘ হলেও আকর্ষণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রচুর বানান ভুল, যেমন - সেতো জাই (সেতো জানাই), গব্যের শুভযায় (গন্তব্যের শুভযাত্রায়), পড়াতাম (পরাতাম), শিউরে (শিয়রে), শোয়ে (শুয়ে), কিু ততোণে (কিন্তু ততোক্ষণে), ভোলি (ভুলি)। তবে সব আপনার অবহেলার ফল না হয়ে ফন্ট-সমস্যা জনিত বলে আমার মনে হয়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।